দুজন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠতে হলে বিশ্বস্ততার পাশাপাশি প্রয়োজন সমঝোতার। এর সাথে দরকার একে অপরের জন্য সম্মানবোধ। কিন্তু আমরা মাঝে মাঝে এসব কথা ভুলে যাই। তাই নিজের অজান্তেই কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াই ভালোবাসার মানুষটির। ভুল করে তাঁকে বলে ফেলি কটু কথা, অসম্মান করে বসি তাঁকে, মনোকষ্টের কারণ হয়ে যাই তাঁর। কখনো কখনো রেগে গিয়ে বা না বুঝে আমরা এমন অনেক কথা বলি, যা হয়তো বলতে চাই না। কিন্তু এই না বলতে চাওয়া কথাটাই হয়তো অনেকখানি দুঃখ দিয়ে ফেলে প্রিয় মানুষটিকে।আপনি আপনার প্রেমিকা বা স্ত্রীকে হয়তো অনেক ভালোবাসেন। কিন্তু মাঝে মাঝে কি তাঁর মনোকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ান না? আপনার সামান্য একটা কটু কথা বা ভুল আচরণ তাঁকে হয়তো অনেকখানি কষ্ট দিয়ে ফেলে। তাই সম্পর্কের ক্ষেত্রে হতে হবে আরো যত্নশীল। বলা যাবে না এমন কোনো কথা বা করা যাবে না এমন কোনো কাজ যাতে আপনার সঙ্গিনী আপনার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলে।
চেহারা নিয়ে নেতিবাচক কথা বলবেন না :
সৃষ্টিকর্তা একেকজন মানুষকে একেকভাবে সৃষ্টি করেছেন। একেকজনের চেহারা একেক
রকম। কোনো মানুষই তার নিজের চেহারা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তাই আপনার সঙ্গিনী
যদি নিজেও তাঁর চেহারা নিয়ে নেতিবাচক কোনো কথা বলেন, তাহলে তাতে ভুলেও সায়
দেবেন না। অন্তত এ ব্যাপারে আপনার সায় তাঁকে খুশি না করে করবে দুঃখিত। আর
যদি তাঁর চেহারা বা চেহারার কোনো অংশ আপনার ভালো না লাগে, তাহলে সেটা তাঁকে
ঘুণাক্ষরেও জানতে দেবেন না! আপনি তাঁকে ভালোবেসেছেন, সব দেখেশুনেই
ভালোবেসেছেন। সম্পর্ক করার পর এসব নিয়ে খোটা দেয়া রীতিমত মানসিক নির্যাতন।
পোশাক বা সাজগোজ নিয়ে খোটা দেবেন না :পৃথিবীর সব মানুষ যেমন একরকম নয়, তেমনি সবার রুচিবোধও এক নয়। আপনার সঙ্গিনীর পোশাক-আশাক বা সাজগোজ নিয়ে যদি আপনার কোনো আপত্তি থাকে তাহলে তাঁকে জানান,তবে অবশ্যই সরাসরি নয়। একটু ঘুরিয়ে, বুঝিয়ে বলুন। জোর করবেন না বা খোটা দিয়ে কিছু বলবেন না, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাঁকে বুঝিয়ে বললে অবশ্যই তিনি আপনার কথা শুনবেন।
পরিবার নিয়ে কটু কথা বলবেন না :
আপনার কাছে যেমন আপনার পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি আপনার সঙ্গিনীর কাছেও তাঁর পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাঁর আপনজনদের ব্যাপারে কখনোই কোনো কটু কথা বলবেন। এমন কিছু বলবেন যাতে তাঁদের অসম্মান করা হয়। এতে কিন্তু আপনার সঙ্গিনীকেই অসম্মান করা হয়। আর যদি সম্পর্কে এই অমর্যাদার ব্যাপারটি চলে আসে, তাহলে কিন্তু ক্ষতি আপনারই। আপনার সঙ্গিনী আপনার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলতে পারে।
অহেতুক সন্দেহ করবেন না :
সন্দেহ সম্পর্কে ফাটল ধরায়। আর সন্দেহের কারণটা যদি হয় ভিত্তিহীন, তাহলে সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি হতে বাধ্য। আপনার সঙ্গিনীর ছেলে বন্ধু থাকতেই পারে। ছেলে বন্ধু মানেই যে অন্য ধরনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, তা কিন্তু নয়! তাই সঙ্গিনীকে সন্দেহ করার আগে এবং এটা নিয়ে তাঁর সাথে কথা বলার আগে ব্যাপারটির সত্যতা যাচাই করে নিন।
তুলনা করবেন না :
একেকজন মানুষের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকে। তাই একজনের সাথে আরেকজনের তুলনা করা একেবারেই উচিত নয়। বিশেষ করে মেয়েরা তাঁর সাথে অন্য কারো তুলনা করা একদমই পছন্দ করেন না। তাই আপনার সঙ্গিনীকে অন্য কারো সাথে কখনোই তুলনা করবেন না। এতে যেমন তিনি রেগে যেতে পারেন, তেমনি এটা তাঁর মনোকষ্টের কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই এই তুলনা করার বিষয়টি একেবারেই এড়িয়ে চলুন।
Post a Comment